Skip to main content
shah mahabub

ইচ্ছে করে ভোর বেলায় মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তায় কেউ লিখুকঃ এত দেরি করে ঘুম ভাঙলো আপনার? কিংবা গভীর রাতেঃ রাত জেগে থাকতে থাকতে কি ক্লান্ত লাগে না? কিংবা , বাঁধভাঙা জোছনায় আবদার করবেঃ আঁধারে ভয়ে দম বন্ধ হয়ে আসছে , একটু হাতটা ধরবে? ইচ্ছে করে কারো নরম কন্ঠে সকাল হোক। কিংবা,আধখাওয়া চায়ের কাপে কেউ প্রচন্ড আগ্রহে চুমুক দিক। ইচ্ছে করে আমায় কেউ প্রচন্ড বকা দিক,শাসন করুক,কানমলা দিক। রাগ করে খামচি দিয়ে নখের ছাপ বসিয়ে একটু রক্তও না হয় খসিয়ে নিয়ে যাক। তবু হাতটা ধরে রাখুক। ফোনের এপাশে মন খারাপ করে চুপ করে থাকলে ওপাশের মানুষটার চুপসে যাওয়া মুখ শুকনো ঠোঁটের মেকি হাসির বিপরীতে ওপাশের ভেজা চোখটা কে কল্পনা করতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে একজনকে নিয়ে জীবনের গল্পটা নতুন করে লিখি। খুব করে ভালোবাসি। ইচ্ছে করে কাউকে নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসায় আঁকড়ে ধরে রাখি।বুকের ভেতর আগলে রাখি। স্পর্শের বৃত্তের ভিতর অস্পর্শী অনুভূতিগুলোকে বাইরে থেকে ছুঁয়ে দেই হৃদস্পন্দনের প্রতিটা ধ্বনিতে। কারো ভালোবাসি শব্দে কাঁচা ঘুম ভেঙে আড়মোড়া ভেঙে কাঁথাটা আরো শরীরে আরো একটু জড়িয়ে বলিঃ কি বলছো , শুনতে পাই নি তো ! গভীর রাতে যখন শহরের সব আলো নিভে যায় , ভূতের মত নিভৃত শহরের নির্জনতা ভাঙুক মুঠোফোনেঃ রিংটোনে প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতটা বাজুকঃ তুই ফেলে এসেছিস কারে মন মনরে আমার ... ফোন ধরতেই কেউ বলুকঃ কফি খাবে না কোল্ড কফি ? প্রচন্ড শীতে যখন তার ঠোঁটের কোন শুকিয়ে যাবেঃ আলতো করে কোমর ছুঁয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে দিবো। তখন যদি চোখ বন্ধ করে নিশ্বাস থামিয়ে দিয়ে ঠোটের কোন ফুটে ওঠে সতেজ হাসি। হাতে ধরিয়ে দিবো ছোট্ট চিরকুটঃ ভালোবাসি,কেবল তোমাকেই । আদুরে গলায় হয়তো উত্তর করবেঃ আমি একটুও ভালোবাসি না , ফের যদি ঠোট ছুঁয়ে দাও ছাদ থেকে এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো। তারপর হয়তো জড়িয়ে ধরে রাখবে। শার্টের বুক ভিজে যাবে নোনা জলে,লেপ্টে যাবে কাজল। দুহাতে গাল ধরে চোখে চোখ রেখে বলবোঃ ঈশ পাগলী , এই শীতে বৃষ্টি নামছে। আর তোর চোখ ভিজলে আমার তো আরো ঠোঁট ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে। চোখ বাঁকিয়ে বলবেঃ বাহ।আমি কি বারন করেছি নাকি? আমার পায়ের ওপর বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ভর করে ছুঁয়ে দিতে চাইবে নাকের অগ্রভাগ। হাতটা ছেড়ো না। শক্ত করে ধরে রাখো। হাতটা ছেড়ো না। ধরে রাখো। আমি তোমার হাত ধরে আকাশ দেখতে চাই , দেখতে চাই জোছনা , সমুদ্রের বিশাল ঢেউ। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ভালোবাসি। কিন্তু পরক্ষণে মনে পড়েঃ তুমি নেই! আসবেও না। তোমার আসার সময়ও হবে না।

Comments

Popular posts from this blog

মিশন থানচি

মিশন থানচি> রেমাক্রি> নাফাখুম>জিনাপাড়া> থুইসাপাড়া> দেবতাপাহাড়> আমিয়াখুম> আমাদের যাত্রা ছিল বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের নাফাখুম এবং দুর্গম নাক্ষিয়ং এর দেবতাপাহাড় >আমিয়াখুম>ভেলাখুম>সাতভাইখুম। ১ম দিন- কুমিল্লা থেকে রাত ১২.৪৫ টায় সৌদিয়া বাসে (টিকিট ৬২০) যাত্রা শুরু করে সকাল ৬.০০ টায় বান্দরবান শহরে পৌছয়ে যাই। বাস থেকে নেমে নাস্তা শেষ করে চান্দের গাড়ি রির্জাভ (৫৫০০৳) করে থানচির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। যেতে যেতে পথে চঁাদ উঠেছিল না মেঘের সমুদ্র দেখা মিলছিল.এই সমুদ্রের বর্ননা হয়ত লিখে বা ক্যামেরা বন্দী করে বুঝানো যাবে না স্বয়ং নিজ চোখে না দেখিলে। বেলা ১১ টার দিকে আমরা থানচি পৌছে যাই, থানচি থেকে ১০-১২কি.মি আগে বিজিবি চেকপোস্ট পরে, সেখানে আমাদের সবার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়ে নাম ঠিকানা লিখে এন্ট্রি করতে হয় NID, Varsity ID, Birth certificate যেকোন একটা দিলেই হয়। বিজিবি এর একটা ক্যাফে আছে ওখানে স্থানীয় বাগানের একদম ফ্রেস পেপে, কমলার জ্যুস পাওয়া যায়, চায়লে ট্রাই করে দেখতে পারেন।কয়েকদিন আগে থেকেই ১৩০০০টাকা দিয়ে লোকাল গাইড + নৌকা(আপ ডাউন) ৩ দিনের ...

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব আল্লাহ ... আল্লাহ হু-আকবর ... আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর ... হু-আকবর আমি মন মন্দিরে পূজা দেব শিব শুন্দরম অনন্তম আমি মন মন্দিরে পূজা দেব পড়ব নামাজ দেল কাবায় মসজিদ মন্দিরে জেতে বলনা আমায় তোমরা মন্দির মসজিদে যেতে বলনা আমায়। মানুষ যদি আদম সন্তান সৃষ্টি একজনার তবে ভিন্ন ভিন্ন ঘর হবে কেন ভিন্ন কেন আচার আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ ... আল্লাহ ... আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ আপন করলো পথ আমায় আরে জন্ম দেখি মরণ দেখি তাঁরে দেখি না অদৃশ্য তার প্রেমের বলি আমরা কজনা জগত জুড়ে রক্ত সাগর কারে পায় কে বয়ে যায় আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর

দেখলে তোকে, বদলায় দিন

youtube দেখলে তোকে, বদলায় দিন বদলায় রাত, বদলায় ঘুম সঙ্গে সময়। সন্ধ্যে হলে, বন্ধ ঘরে মনে পড়ে তোরই কথা এমনই হয় । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । চাঁদেরই ঝর্ণা যেমন ভেজায় পাহাড় । ততটা আদর আছে তোকে দেওয়ার । দেখে যা ইচ্ছে কত আকাশ ছোঁওয়ার । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন ।