Skip to main content

ভেঙে যাওয়ার গল্প

তাই বলে মুখের হাসিটা কেন থেমে যাবে??

রোজ রোজ কেন যেন ভেঙে যাওয়ার গল্পগুলোই শুনতে হয় আমাকে!
হোক প্রতারণার গল্প কিংবা মিউচুয়াল ব্রেকাপ কখনো গড়ে ওঠার গল্পগুলো শোনা হয় না।অবশ্য ভালো থাকার মুহূর্ত গুলো কেউ জানায় না বলেই হয়ত বিচ্ছেদের গল্পগুলোই মনে গেঁথে যায়।
যে মানুষটার জন্য রাতে না ঘুমিয়ে স্বপ্ন বুনেছিলাম সে মানুষটা চলে গেলে বুকের বাম পাশটায় হলুদ নিয়ন আলোয় ঘেরা ফাঁকা রাস্তাটার মত হয়ে যায়।
নিঃশ্বাস নেয়ার সময় চোখের জলে অধর ভিজে যায়।
অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা একেকটা রাতগুলোকে বর্ণনা করার মত ভাষা ও থাকে না।লিখে রাখা যায় না যন্ত্রণায় কাতরানোর শব্দগুলো।
মনের ভুলেই ভালোবাসার মানুষের গায়ের গন্ধে আঁতকে ওঠা যেন অভ্যস্ততায় রুপ নেয় একসময়।
পৃথিবীর সবকিছু যখন অসহ্য লাগে তখন জীবনটাকে তুচ্ছ আর নিরর্থক ভেবে বসাই হয় জীবনের মানে!
জীবন থেকে যে মানুষটা চলে গেছে সে আসলে আমার ছিল না।আমরা সবসময় এই ভুলটাই করি।যাকে ভালোবাসি তাকে না পাওয়ার যন্ত্রণায় বাস্তবটাকে ভুলে যাই।

যে মানুষটাকে আমার জন্য লিখেই রাখা হলো না তাকে না পাওয়ার জন্য কেন আমি কাউকে দোষ দিব??
আমি ভুল মানুষকে ভালোবেসে ফেলার দায়িত্ব অন্য কেউ কেন আমিও নিব না! এটা ভুল!
প্রতারকের বেলায় তো সোজা হিসাব। কেউ প্রতারণা করলো আর যদি বলে বসো ওর মত কাউকে ভালোবাসা সম্ভব না তাহলে তোমার মাথায় সাইকোলজিক্যাল সমস্যা আছে! তুমি ২ বছরের বাচ্চার মত ওই খেলনাটাই চাই বয়সে আছ!
মিউচুয়াল ব্রেকাপ নিয়েও অনেকে অনেক ধরনের মানসিক অত্যাচারে করো নিজেকে! নিজেকে গুছিয়ে চলার জন্য জীবন পেয়েছ তাও একটা বিপরীত লিঙ্গের মানুষের জন্য দিনের পর দিন চোখের পানি ফেলে ওকে ছাড়া থাকতে পারি না টাইপ বোকা বোকা কথা নিয়ে সময় পার করে দাও।
যার সাথে বনিবনা হলো না তার জন্য কেন কাঁদতে হবে?? শেষে সঠিক মানুষটা এলে মনে হবে আমি ওই মানুষটার জন্য চোখের জল ফেলেছিলাম??
নিজেকে কতটা সস্তা বানিয়ে তুলেছ দিন দিন!
আসলে জীবনে গুছিয়ে চলা, মানিয়ে চলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমি বলছি না কষ্ট পাওয়া যাবে না। এই ধরনের পরিস্থিতিগুলোতে কখনোই ভালোবাসার মানুষটাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করো না!

তাকে ভুলে যেতে চাইলে আরও বেশি কষ্ট পাবে তুমি। জীবনে আমরা অনেক কিছু মানতে বাধ্য হই। আমরা বাধ্য! কারণ আমাদের প্রকৃতি চালায়। আমাদের চালায় এই সমাজ।
তাই বলে মুখের হাসিটা কেন থেমে যাবে?? আমি কষ্ট পেলে কেউ কি আমার কষ্টের ভাগ নিতে পারে??
কই অন্য সবকিছুর মত তো কষ্ট ভাগ করা যায় না!তবে কেন এই যন্ত্রণা লালন করবো আমরা??
একটা সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পর হা হুতাশ না করে নিজের মধ্যে সেই স্বপ্নটা নিয়েই থাকো! যে মানুষটা চলে যায়নি! সে আছে! বিশ্বাস করো, ইট ওয়ার্কস!
তুমি একসময় ওই চলে যাওয়া মানুষটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা নিজে থেকেই থামিয়ে দিবে! কিন্তু সাথে সাথেই পারবে না।কারণ মানুষকে পাহাড় থেকে একবারে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে ছিটকে পরে যাবে! ব্যাপারটা আসলে এমনই!
ভালোবাসার মানুষটাকে যা যা বলতে ইচ্ছে হয় একটা কাগজে চিঠি লেখার মত করে লিখে ফেলো। ম্যাসেজের রিপ্লাই দিচ্ছে না তাতে কি! চিঠিতে লিখে চিঠিটা পুড়িয়ে দাও!
ভেবে নাও ছাইগুলো উড়িয়ে দিলে সেটাই চলে যাবে তার কাছে।
চোখ বন্ধ করে নিজের ভালোলাগাটা আবিষ্কার করে ফেলো। যা করতে ইচ্ছে করো তাই তাই করে ফেলো। তা নিয়েই ব্যস্ত থাকো। সেটা করা না গেলে আবার অন্য একটা ভালোলাগা আবিষ্কার করো! সেটাই করো।
কষ্ট পাচ্ছি, ও আমাকে বোঝে না, ভালোবাসে না, অন্য কারো সাথে চলে গেছে, ব্রেকাপ করে ফেলেছে, আমি থাকতে পারছি না, ওকে খুব মিস করি...........................।
অনেক অনেক কিছু! একবারে কিছুই ঠিক হয় না! সময় লাগে বাবা।
সময়ের সাথে সাথে কষ্টের উপর প্রলেপ পড়ে যায়।কিন্তু তার জন্য নিজেকে সময় দিতে হয়।
ভাগ্যে বিশ্বাস করো। কিছু জিনিস আমার না! আমাকে কিছু জিনিস ছেড়ে আসতে হবে! কেন মেনে নেয়া সম্ভব না?? সম্ভব!
যখন নিজের দুর্বলতা আড়াল করে চলতে পারবে তখন মানুষ তোমাকে আঘাত করা শক্তি হারিয়ে ফেলবে! তবে মানুষকে সুযোগ কেন দেবে??
কিছু ব্যাপারে ড্যাম কেয়ার হতে শিখো।
মনে রেখো- যদি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে যাও তবেই জিতে যাবে!
জীবনে জিতে যাওয়াটাই তো বড় ব্যাপার, তাইনা??
Aurnila Aman

Comments

Popular posts from this blog

মিশন থানচি

মিশন থানচি> রেমাক্রি> নাফাখুম>জিনাপাড়া> থুইসাপাড়া> দেবতাপাহাড়> আমিয়াখুম> আমাদের যাত্রা ছিল বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের নাফাখুম এবং দুর্গম নাক্ষিয়ং এর দেবতাপাহাড় >আমিয়াখুম>ভেলাখুম>সাতভাইখুম। ১ম দিন- কুমিল্লা থেকে রাত ১২.৪৫ টায় সৌদিয়া বাসে (টিকিট ৬২০) যাত্রা শুরু করে সকাল ৬.০০ টায় বান্দরবান শহরে পৌছয়ে যাই। বাস থেকে নেমে নাস্তা শেষ করে চান্দের গাড়ি রির্জাভ (৫৫০০৳) করে থানচির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। যেতে যেতে পথে চঁাদ উঠেছিল না মেঘের সমুদ্র দেখা মিলছিল.এই সমুদ্রের বর্ননা হয়ত লিখে বা ক্যামেরা বন্দী করে বুঝানো যাবে না স্বয়ং নিজ চোখে না দেখিলে। বেলা ১১ টার দিকে আমরা থানচি পৌছে যাই, থানচি থেকে ১০-১২কি.মি আগে বিজিবি চেকপোস্ট পরে, সেখানে আমাদের সবার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়ে নাম ঠিকানা লিখে এন্ট্রি করতে হয় NID, Varsity ID, Birth certificate যেকোন একটা দিলেই হয়। বিজিবি এর একটা ক্যাফে আছে ওখানে স্থানীয় বাগানের একদম ফ্রেস পেপে, কমলার জ্যুস পাওয়া যায়, চায়লে ট্রাই করে দেখতে পারেন।কয়েকদিন আগে থেকেই ১৩০০০টাকা দিয়ে লোকাল গাইড + নৌকা(আপ ডাউন) ৩ দিনের ...

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব আল্লাহ ... আল্লাহ হু-আকবর ... আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর ... হু-আকবর আমি মন মন্দিরে পূজা দেব শিব শুন্দরম অনন্তম আমি মন মন্দিরে পূজা দেব পড়ব নামাজ দেল কাবায় মসজিদ মন্দিরে জেতে বলনা আমায় তোমরা মন্দির মসজিদে যেতে বলনা আমায়। মানুষ যদি আদম সন্তান সৃষ্টি একজনার তবে ভিন্ন ভিন্ন ঘর হবে কেন ভিন্ন কেন আচার আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ ... আল্লাহ ... আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ আপন করলো পথ আমায় আরে জন্ম দেখি মরণ দেখি তাঁরে দেখি না অদৃশ্য তার প্রেমের বলি আমরা কজনা জগত জুড়ে রক্ত সাগর কারে পায় কে বয়ে যায় আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর

দেখলে তোকে, বদলায় দিন

youtube দেখলে তোকে, বদলায় দিন বদলায় রাত, বদলায় ঘুম সঙ্গে সময়। সন্ধ্যে হলে, বন্ধ ঘরে মনে পড়ে তোরই কথা এমনই হয় । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । চাঁদেরই ঝর্ণা যেমন ভেজায় পাহাড় । ততটা আদর আছে তোকে দেওয়ার । দেখে যা ইচ্ছে কত আকাশ ছোঁওয়ার । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন ।