Skip to main content

ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস থেকে এক্সাম দিয়ে বাসায় ফিরছি। বাসের ঠিক শেষ সিট-এর বরাবর মাঝখানে বসেছি। ...সবচেয়ে মধুর একটা কাকতালীয় ব্যপার হলো- সারা বাস জুড়ে সব কাপল!! অন্য সিট গুলোর কথা চিন্তা করতে হবে না, শুধু আমার অবস্থান চিন্তা করেন! শেষ সিট-এ টোটাল পাঁচ জন বসার জায়গা। মাঝখানে আমি, আর দুই পাশে দুই টা কাপল! :/ ...এরকম অবস্থায় বসে থাকাটা সত্যি-ই অড! তাই মোবাইলটা বের করে লিখতে শুরু করে দিয়েছি! আমার বাম পাশের জোড়াটা খুনসুঁটি করছে। ছেলেটা মেয়েটাকে ঠিক কি করছে কি জানি, মেয়েটা একটু পরপর কিচকিচ করে উঠছে! ...আমার লাজ শরম একটু বেশি বলে-ই ওদিকে তাকাতে পারছি না! ...তবে শুনছি। ...মনযোগ দিয়ে। ওরা কথা বলছে আস্তে আস্তে- "তোমার কি মনে হয় আমার শক্তি নাই?" "তুমি আমার সাথে পারবা মনে করো?" "কি করবা তুমি?" "এখন যদি চুমু খাই?" "এই না, সামনে হুজুর একটা তাকায়ে আছে দেখো..." "আরে তুমি কি তারে চিনো নাকি? দেখুক গা।" কথাগুলো বলতে বলতে হাতাহাতি করছে। খুনসুঁটি করছে। ...পাশে বসে থাকা একটা অসহায় ছেলেকে (আমাকে) খুনও করছে! এসব কথা বার্তাগুলো আমি গল্পে লেখি! মনে মনে ভাবি, আমার লেখা প্রেমের গল্পগুলোকে কতজন-ই না লুপুপুতু বলে গালি দেয়! ...আজ দেখি প্রেম করলে লুতুপুতুটা-ই করা উচিৎ! . এতক্ষণ বামদিকের কাপলের কথা শুনতে শুনতে বাঁ পাশে বাঁকা হয়ে কান খাড়া করে রেখেছিলাম! ডান পাশে খেয়াল-ই করি নি! ...ডানপাশের ভাইয়া আর আপুটা এতটা চুপচাপ যে খেয়াল না করাটাই স্বাভাবিক! যদি বাসের আওয়াজ না থাকতো, তাহলে ডানদিক থেকে অগনিত নিঃশ্বাসের আওয়াজ শুনতে পেতাম! উনারা খুব চুমু খাচ্ছেন! ...চুপচাপ! রাত নেমে এসেছে এই ভর দুপুরের বাসে! এখানে শুধু আমি, ড্রাইভার, হেল্পার, সামনের মহিলা সিটের কয়েকটা মেয়ে আর দাঁড়ানো তিনটা হুজুর প্রেমিকাহীনভাবে বাসে চড়ছি! আমার দু'পাশে চুমু নিয়ে খুনসুঁটি চলছে। আর আমি মাঝে খাড়া করে বসে আছি... ...কান!!

Comments

Popular posts from this blog

মিশন থানচি

মিশন থানচি> রেমাক্রি> নাফাখুম>জিনাপাড়া> থুইসাপাড়া> দেবতাপাহাড়> আমিয়াখুম> আমাদের যাত্রা ছিল বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের নাফাখুম এবং দুর্গম নাক্ষিয়ং এর দেবতাপাহাড় >আমিয়াখুম>ভেলাখুম>সাতভাইখুম। ১ম দিন- কুমিল্লা থেকে রাত ১২.৪৫ টায় সৌদিয়া বাসে (টিকিট ৬২০) যাত্রা শুরু করে সকাল ৬.০০ টায় বান্দরবান শহরে পৌছয়ে যাই। বাস থেকে নেমে নাস্তা শেষ করে চান্দের গাড়ি রির্জাভ (৫৫০০৳) করে থানচির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। যেতে যেতে পথে চঁাদ উঠেছিল না মেঘের সমুদ্র দেখা মিলছিল.এই সমুদ্রের বর্ননা হয়ত লিখে বা ক্যামেরা বন্দী করে বুঝানো যাবে না স্বয়ং নিজ চোখে না দেখিলে। বেলা ১১ টার দিকে আমরা থানচি পৌছে যাই, থানচি থেকে ১০-১২কি.মি আগে বিজিবি চেকপোস্ট পরে, সেখানে আমাদের সবার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়ে নাম ঠিকানা লিখে এন্ট্রি করতে হয় NID, Varsity ID, Birth certificate যেকোন একটা দিলেই হয়। বিজিবি এর একটা ক্যাফে আছে ওখানে স্থানীয় বাগানের একদম ফ্রেস পেপে, কমলার জ্যুস পাওয়া যায়, চায়লে ট্রাই করে দেখতে পারেন।কয়েকদিন আগে থেকেই ১৩০০০টাকা দিয়ে লোকাল গাইড + নৌকা(আপ ডাউন) ৩ দিনের ...

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব আল্লাহ ... আল্লাহ হু-আকবর ... আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর ... হু-আকবর আমি মন মন্দিরে পূজা দেব শিব শুন্দরম অনন্তম আমি মন মন্দিরে পূজা দেব পড়ব নামাজ দেল কাবায় মসজিদ মন্দিরে জেতে বলনা আমায় তোমরা মন্দির মসজিদে যেতে বলনা আমায়। মানুষ যদি আদম সন্তান সৃষ্টি একজনার তবে ভিন্ন ভিন্ন ঘর হবে কেন ভিন্ন কেন আচার আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ ... আল্লাহ ... আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ আপন করলো পথ আমায় আরে জন্ম দেখি মরণ দেখি তাঁরে দেখি না অদৃশ্য তার প্রেমের বলি আমরা কজনা জগত জুড়ে রক্ত সাগর কারে পায় কে বয়ে যায় আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর

দেখলে তোকে, বদলায় দিন

youtube দেখলে তোকে, বদলায় দিন বদলায় রাত, বদলায় ঘুম সঙ্গে সময়। সন্ধ্যে হলে, বন্ধ ঘরে মনে পড়ে তোরই কথা এমনই হয় । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । চাঁদেরই ঝর্ণা যেমন ভেজায় পাহাড় । ততটা আদর আছে তোকে দেওয়ার । দেখে যা ইচ্ছে কত আকাশ ছোঁওয়ার । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন ।