Skip to main content

দেবতা খুম !!!!!!

'' দেবতা খুম ''❤️❤️❤️
বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত দেবতাখুম। বান্দরবান শহর থেকে রোয়াংছরির উদ্দেশ্যে (ভাড়া ৬০ টাকা) ।১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মত লাগবে রোয়াংছরিতে যেতে। নাস্তা শেষ করে গাইড নিতে হবে।গাইড ভাড়া ১০০০/= করে । আমাদের গাইড ছিল শুভ ভাই ( Subajoy Tcg Bang Bang 01881554582) অত্যান্ত ভালো মানুষ❤️।রোয়াংছরিতে গিয়ে উনাকে কল করলেই চলে আসবে।সাথে ২ কপি আইডি কার্ডের কপি রাখবেন।অটো নিবেন কচ্ছপতলী যাওয়ার জন্য (পার পারসন ৬০/=) । তবে যাওয়ার আগে গাইডসহ রোয়াংছরি থানায় নাম এন্ট্রি করে নিতে হবে। থানায় নাম এন্ট্রি না করালে কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্পে পারমিশন দিবে না। কচ্ছপতলী যেতে সময় লাগবে ৪০-৪৫মিনিট। তারপর আর্মি ক্যাম্পে নাম এন্ট্রি করে ট্রেকিং এ নেমে পরতে হবে। দেবতাখুম ডুকার আগেই খাবারের অর্ডার দিয়ে যেতে পারবেন। সেখান থেকেই লাইফ জ্যাকেট ভাড়া নিয়ে যেতে পারবেন।যারা সাতার জানেন না...অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট নিবেন।

দেবতাখুমের পানি সবুজ। রহস্যময়। দেখে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। গুরুত্ব বিবেচনায় বান্দরবানের অন্য সব খুমের মতো পরিচিতি পায় নি দেবতাখুম। তাই অনেকটা আড়ালেই থাকে দেবতাখুম। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন আমরাসহ মোট তিনটি গ্রুপ সেখানে গিয়েছিল। অন্য সব ট্যুরিস্ট স্পটের মতো সেখানে নেই কোনো নৌকা বা ভেলা ভাড়া করার তাড়া। আপনি গিয়েই দেখতে পাবেন বাঁশ দিয়ে তৈরি ভেলা আটকানো আছে খুমের শুরুতেই(ভেলা ১০০/=)। ভাগ্য ভালো থাকলে আপনি নিজেকে আবিষ্কার করবেন এমন এক খুমে যেখানে সেই মূহূর্তে আপনার গ্রুপ ছাড়া আর কেউ নাই। মূর্হূতের জন্য চুপাচাপ থাকলে উপলদ্ধি করতে পারবেন প্রায় ১০০ মিটার খাড়া পাথরের গা থেকে খুমের জলে টুপটুপ শব্দ করে পানি পড়ছে। আরেকটু নিশ্চুপ থাকলে সেই পানির ফোটাঁ পড়ার প্রতিশব্দও শুনবেন। মনটা জুড়িয়ে যাবে। আপনি চিৎকার দিলে তার প্রতিশব্দ পাহাড় ঘুওে আবার কানে এসে বাজবে। ।ভেলার আশ পাশ দিয়ে ২/৩ টা সাপ এমনিতেই দেখতে পারবেন ।খাড়া দেয়াল গুলোতেও সাপ দেখতে পারবেন। দেবতাখুমের পানি খুব ঠান্ডা। সারাদিনে পরিশ্রম শেষে খুমে নেমে গোসল করা- সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। নির্জন, নিস্তবন্ধতা ও কোলাহলমুক্তের জন্য এই খুম বিখ্যাত। দেবতাখুমে যাওয়ার আগেই একটি ছোট গ্রাম পাবেন। সর্বসাকুল্যে ২৫ থেকে ৩০ টি বাড়ি আছে গ্রামটিতে। মনে রাখবেন যদি কম খরচে বাসে করে বান্দরবান শহরে ফিরতে যান তাহলে বিকাল ৫ টার আগেই রোয়াংছরিতে চলে যেতে হবে কারন লাস্ট ট্রিপ ৫ টায়।

N B; আমরা যেখানেই ঘুরাফিরা করি না কেন ঘুরতে গিয়ে পরিবেশ যেন নোংরা না করি তার দিকে আমাদের নিজেদের এই খেয়াল রাখতে হবে। কারন এই সৌন্দর্য ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।




Comments

Popular posts from this blog

মিশন থানচি

মিশন থানচি> রেমাক্রি> নাফাখুম>জিনাপাড়া> থুইসাপাড়া> দেবতাপাহাড়> আমিয়াখুম> আমাদের যাত্রা ছিল বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের নাফাখুম এবং দুর্গম নাক্ষিয়ং এর দেবতাপাহাড় >আমিয়াখুম>ভেলাখুম>সাতভাইখুম। ১ম দিন- কুমিল্লা থেকে রাত ১২.৪৫ টায় সৌদিয়া বাসে (টিকিট ৬২০) যাত্রা শুরু করে সকাল ৬.০০ টায় বান্দরবান শহরে পৌছয়ে যাই। বাস থেকে নেমে নাস্তা শেষ করে চান্দের গাড়ি রির্জাভ (৫৫০০৳) করে থানচির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। যেতে যেতে পথে চঁাদ উঠেছিল না মেঘের সমুদ্র দেখা মিলছিল.এই সমুদ্রের বর্ননা হয়ত লিখে বা ক্যামেরা বন্দী করে বুঝানো যাবে না স্বয়ং নিজ চোখে না দেখিলে। বেলা ১১ টার দিকে আমরা থানচি পৌছে যাই, থানচি থেকে ১০-১২কি.মি আগে বিজিবি চেকপোস্ট পরে, সেখানে আমাদের সবার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়ে নাম ঠিকানা লিখে এন্ট্রি করতে হয় NID, Varsity ID, Birth certificate যেকোন একটা দিলেই হয়। বিজিবি এর একটা ক্যাফে আছে ওখানে স্থানীয় বাগানের একদম ফ্রেস পেপে, কমলার জ্যুস পাওয়া যায়, চায়লে ট্রাই করে দেখতে পারেন।কয়েকদিন আগে থেকেই ১৩০০০টাকা দিয়ে লোকাল গাইড + নৌকা(আপ ডাউন) ৩ দিনের ...

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব

আমি মন মন্দিরে পূজা দেব আল্লাহ ... আল্লাহ হু-আকবর ... আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর ... হু-আকবর আমি মন মন্দিরে পূজা দেব শিব শুন্দরম অনন্তম আমি মন মন্দিরে পূজা দেব পড়ব নামাজ দেল কাবায় মসজিদ মন্দিরে জেতে বলনা আমায় তোমরা মন্দির মসজিদে যেতে বলনা আমায়। মানুষ যদি আদম সন্তান সৃষ্টি একজনার তবে ভিন্ন ভিন্ন ঘর হবে কেন ভিন্ন কেন আচার আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ ... আল্লাহ ... আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ আপন করলো পথ আমায় আরে জন্ম দেখি মরণ দেখি তাঁরে দেখি না অদৃশ্য তার প্রেমের বলি আমরা কজনা জগত জুড়ে রক্ত সাগর কারে পায় কে বয়ে যায় আমি মন মন্দিরে পূজা দেব সত্যম শীবম অনন্তম আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব আল্লাহ হু-আকবর

দেখলে তোকে, বদলায় দিন

youtube দেখলে তোকে, বদলায় দিন বদলায় রাত, বদলায় ঘুম সঙ্গে সময়। সন্ধ্যে হলে, বন্ধ ঘরে মনে পড়ে তোরই কথা এমনই হয় । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । চাঁদেরই ঝর্ণা যেমন ভেজায় পাহাড় । ততটা আদর আছে তোকে দেওয়ার । দেখে যা ইচ্ছে কত আকাশ ছোঁওয়ার । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন । কেন যে তোকে পাহারা, পাহারা দিল মন । কেন রে এতো সাহারা, সাহারা সারাদিন । কেন যে তোকে পাইনা, পাইনা মনে হয়, সারাটা দিন ।